কক্সবাজার, ১৪ জুন, ২০২৩। আগামী ২০ জুন বিশ্ব শরণার্থী দিবস। দিবসটিকে সামনে রেখে আজ একটি ভার্চুয়াল আলোচনা সভার আয়োজন করে কোস্ট ফাউন্ডেশন। কক্সবাজারের গণমাধ্যম কর্মী, অনলাইন একটিভিস্ট এবং বিভিন্ন যুব সংগঠনের কর্মীবৃন্দ এই আলোচনা সভায় অংশগ্রহণ করেন। সভায় আলোচকবৃন্দ উল্লেখ করেন যে, প্রায় ১০ লাখ রোহিঙ্গাকে আশ্রয় দিয়ে বিরল এক মানবিক দৃষ্টান্ত স্থাপন করেছে বাংলাদেশ। এই সমস্যার একমাত্র টেকসই সমাধান তাঁদের মায়ানমারে ফিরে যাওয়া। ফিরে যাওয়ার আগ পর্যন্ত বাংলাদেশের সেই মানবিক দৃষ্টান্ত ধরে রাখা, সামাজিক সম্প্রীতি বজায় রাখা এবং রোহিঙ্গাদের মানবিক মর্যাদা নিশ্চিত রাখা খুব জরুরি।
কোস্ট ফাউন্ডেশনের সহকারী পরিচালক জাহাঙ্গীর আলমের সঞ্চালনায় অনুষ্ঠিত রোহিঙ্গা সংকট এবং বাংলাদেশের মানবিক অবস্থান’ শীর্ষক এই আলোচনা সভায় অতিথি বক্তা হিসেবে উপস্থিত ছিলেন পালস এর নির্বাহী পরিচালক ও সিসিএনএফ এবং কো-চেয়ার আবু মোর্শেদ চৌধুরী, কোস্টের নির্বাহী পরিচালক ও সিসিএনএফ এর আরেকজন কো-চেয়ার রেজাউল করিম চৌধুরী এবং রাজাপালং ইউনিয়ন পরিষদের সদস্য হেলাল উদ্দিন। এছাড়াও টেকনাফ, উখিয়া, রামু, কুতুবদিয়ার প্রায় ৭০ জন স্যোশাল মিডিয়া কর্মী এবং সংবাদকর্মী এতে উপস্থিত ছিলেন।
ভার্চুয়াল সভায় মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করতে গিয়ে কোস্ট ফাউন্ডেশনের তানজির রনি উল্লেখ করেন, রোহিঙ্গা সংকট মোকাবেলায় বিদ্যমান নানা সমস্যা মোকবেলা করে প্রত্যাবাসন নিশ্চিত করা এবং প্রত্যাবসানের আগ পর্যন্ত সংশ্লিষ্ট সকলকে সমন্বিতভাবে এগিয়ে আসতে হবে।
আবু মোর্শেদ চৌধুরী বলেন, যেহেতু এটি একটি দীর্ঘমেয়াদী সংকট হতে চলেছে তাই সামাজিক সম্প্রীতি এবং প্রত্যাবাসন বিষয়ে গুরুত্বসহকারে উদ্যোগ নিতে হবে। রোহিঙ্গাদের কর্মব্যস্ত রাখতে তাদের ক্যাম্পের অভ্যন্তরে কাজের সুযোগ দিতে হবে, না হলে তাদের মধ্যে অপরাধমূলক কর্মকান্ডে জড়িয়ে যাওয়ার ঝুঁকি বাড়বে। আমরা চাই রোহিঙ্গারা তাদের মানবিক মর্যাদা নিয়ে তাদের নিজ দেশে ফেরত যাক।
রেজাউল করিম চৌধুরী বলেন, বাংলাদেশের আন্তর্জাতিক এবং অর্থনৈতিক সম্পর্কের সাথে রোহিঙ্গা ইস্যুটি জড়িত। সরকারের উচিৎ হবে বর্তমান মানবিক অবস্থান ধরে রাখতে এবং অর্থনৈতিক সম্ভাবনা কাজে লাগাতে আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের সঙ্গে সমন্বয় রেখে রোহিঙ্গাদেরকে প্রত্যাবাসনের উদ্যোগ গ্রহণ করা। বাংলাদেশের মাননীয় প্রধানমন্ত্রী কক্সবাজারে ৩৩ বিলিয়ন ডলার বিনিয়োগ করেছেন। আমরা চাই না কক্সবাজারের পরিস্থিতি খারাপ হোক। রোহিঙ্গাদের জন্য জাতিসংঘের সহায়তা প্রয়োজন এবং জাতিসংঘের উচিত মায়ানমার জান্তা সরকারের উপর চাপ প্রয়াগ করা।
Newspaper





![CSOs urge at Belem [CoP-30] climate conference: Struggle will be continuing until trillion-dollar needs are met](https://coastbd.net/wp-content/uploads/2025/11/Media-Photo_1-218x150.jpg)
