ভোলা ৩০ অক্টোবর ২০২৫। ভোলা কোস্ট ফাউন্ডেশনের উদ্যোগে আয়োজিত তরুন উদ্যোক্তা সমাবেশ অনুষ্ঠানে বক্তারা দেশের দারিদ্র বিমোচনের লক্ষ্যে তরুন উদ্যোক্তাদের অর্থনৈতিক অন্তর্ভূক্তি জোরদার করার দাবী জানান। তারা আরোও বলেন যে, বাংলাদেশেকে সত্যিকারের উন্নয়নশীল দেশ হিসাবে দেখতে হলে মালেশিয়া, দঃ কোরিয়ার মত অর্থনৈতিক কর্মসুচি হাতে নিতে হবে যেখানে তরুন, শিক্ষিত উদ্যোক্তারা অর্থনৈতিক কর্মকান্ডে সরাসরি জড়িত হতে পারে।
কোস্ট ফাউন্ডেশন এর ভোলা জেলা টিম লিডার মোসাম্মৎ রাশেদা বেগম এর সংঞ্চালনায় অনুষ্ঠিত সমাবেশে ভোলা থেকে বিশেষ অতিথি জনাব তুষার কান্তি দে, উপজেলা যুব উন্নয়ন কর্মকর্তা, আয়শা খাতুন, উপজেলা মৎস্য কর্মকর্তা, প্রধান অতিথি কৃষিবিদ জনাব মোঃ কামরুল হাসান, উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা এবং মোঃ নেয়ামত উল্যাহ, জেলা প্রতিনিধি, প্রথম আলো ভোলা অংশগ্রহনের পাশাপাশি ভোলা জেলার বিভিন্ন অঞ্চল থেকে ২০ জন তরুন, সফল ও সম্ভাবনাময় উদ্যোক্তা অংশগ্রহন করেন এবং তাদের অভিজ্ঞতা বিনিময় করে বক্তব্য রাখেন। অনুষ্ঠানে মুল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন কোস্ট ফিউন্ডেশন ভোলা অঞ্চলের আঞ্চলিক সমন্বয়কারী জনাব আইয়ুব আলী।
মুল প্রবন্ধ উপস্থাপনায় জনাব আইয়ুব আলী বলেন কোস্ট ফাউন্ডেশন দীর্ঘ ২৬ বছর ধরে ভোলা এলাকায় দরিদ্র জনগোষ্ঠীর আর্থ-সামাজিক উন্নয়নে কাজ করে আসছে। বর্তমানে কোস্ট এর ১২টি উপকূলীয় জেলায় ১লক্ষ ৮৩ হাজার সদস্য রয়েছে যার মধ্যে প্রায় ৪০% সদস্য হচ্ছে ক্ষুদ্র উদ্যোগ অর্থনৈতিক কর্মকান্ডের সাথে জড়িত। তিনি আরোও বলেন কোস্ট আগামীতে ভোলা জেলার সম্ভাবনাময় ক্ষুদ্র উদ্যোগ অথনৈতিক কর্মকান্ডসমুহ চিহ্নিত করার পাশপাশি কারিগরী সহযোগীতা নিশ্চিত করার মাধ্যমে তরুন ও শিক্ষিত যুবকদের এই ক্ষুদ্র উদ্যোগ কর্মসুচির সাথে জড়িত করার চেষ্টা করে যাবে।
মোঃ ওসমান গনি, কৃষি উদ্যোক্তা বলেন, যেকোনো কাজ করতে হলে প্রথমে ছোট আকারে শুরু করা উচিত, কারন হঠাৎ করে বড় আকারে ব্যবসা ও কৃষি খামার করতে গেলে আর্থিক ক্ষতির ঝুঁকি বেশি থাকে। আমি প্রশিক্ষণ নিয়ে মাংস ব্যবসা শুরু করে এখন ভোলাতে হালাল মাংস বিক্রির সার্টিফিকেট পেয়েছি, বর্তমানে আমার সাথে ১০জন উদ্যোক্তা কাজ করছে। আমাদের এখনও সরকারি প্রতিষ্ঠানে হতে ঋন পেতে জটিলতা রয়েছে, তাই সরকারের নিকট উদ্যোক্তাদের জন্য সহজ শর্তে ঋনের ব্যবস্থা করার দাবী জানিচ্ছি।
লিপি বেগম, কুটি শিল্পের উদ্যোক্তা বলেন আমি কোস্ট ফাউন্ডেশন এর কাছ ধেকে ১টি ছাগল সহায়তা পেয়ে ছাগলটি পালন করে বর্তমানে ছাগলের সংখ্যা ৫টি এছাড়াও হাঁস-মুরগীও পালন করছি। নারীরা প্রশিক্ষণ ও সহায়তা পেলে সামাজিক বাধা অতিক্রম করে পারিবার ও নিজেকে স্বাবলম্বী হিসেবে প্রতিষ্ঠিত করতে পারবে।
মোঃ নেয়ামত উল্যাহ, জেলা প্রতিনিধি, প্রথম আলো বলেন, আমাদের ভোলার উদ্যোক্তারা নিজ উদ্যোগে অনেক দূর এগিয়ে গেছে, তবে কতগুলো বিষয় খেয়াল রাখতে হবে ভোলা দুর্যোগের ঝুঁকিপ্রবন এলাকা। ভোলায় দেশিও ফল উৎপাদনের ব্যাপক সম্ভবনা রয়েছে, কৃষি বিভাগে এ খাতে সহায়তা করলে তরুনরা সফল হবে।
আয়শা খাতুন, সহকারি মৎস্য কর্মকর্তা, ভোলা সদর বলেন, তরুনরা চাকুরীর দিকে না ঝুঁকে উদ্যোক্তা হন, সরকারি-বেসরকারি প্রতিষ্ঠান গুলো আপনার পাশে আছে, প্রথমে ক্ষুদ্র থেকেই শুরু করুন এবং সঠিক পরিকল্পনা ও বাস্তবায়ন কৌশল নির্ধারণ করে স্থীর ভাবে কাজ করে যান সফলতাই আশবেই।
তুষার কান্তি দে, উপজেলা যুব উন্নয়ন কর্মকর্তা বলেন, নিজে উদ্যোক্তা হন, অন্যকে উৎসাহিত করুন, যুব উন্নয়ন অধিদপ্তর আপনাদের পাশে আছে। তবে সকল ঋণগ্রহীতাকে ঋন যথাসময় পরিশোধের মানসিকতা সৃষ্টি করতে হবে, কারন আপনি যথাসময় ঋণ পরিশোধ না করলে অন্য একজন উদ্যোক্তা বঞ্চিত হব।
কৃষিবিদ কামরুল হাসান, উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা বলেন, আমাদের দেশে আগামী অর্থনীতি ও উন্নতি যুব সমাজের হাতে, আপনারা সফল হলে দেশ এগিয়ে যাবে আর ব্যর্থ হলে দেশ পথ হারাবে। ভোলা ভৌগলিক ভাবে কৃষির জন্য উত্তম স্থান, এই সুবিধা সকলে কাজে লাগাতে হবে, প্রত্যেকের যার যতটুকু সুযোগ আছে তা দিয়ে ক্ষুদ্র আকারে হলেও উদ্যোক্তা হওয়ার আহব্বান জানাচ্ছি এবং সরকারি-বেসরকারি প্রতিষ্ঠানসমূহ আপনাদের সাথে রয়েছে।
Download related paper [Bangla Report] [English Report]
Photos
|  |  | 
|  |  | 
|  | 
 
            
 
		


