‘তথ্যের অধিকার, সুশাসনের অঙ্গীকার’ এবারের প্রতিপাদ্য বিষয়কে সামনে রেখে কক্সবাজারের মহেশখালী এবং ভোলা জেলায় বেসরকারী সংস্থাগ্রলোর সহযোগিতায় ২৮ সেপ্টেম্বর ২০১৪ আন্তর্জাতিক তথ্য জানার অধিকার দিবস পালিত হয়। দিবসটি উদযাপনে
সহযোগিতা করে বেসরকারী প্রতিষ্ঠান কোস্ট ট্রাস্ট,রিক, গণস্বাস্থ্য সংস্থা, এস আর পি ভি, ব্র্যাক, আরডিএফ, আশা, ব্রাক (ভোলা শাখা), গ্রামীণ জনউন্নয়ন সংস্থা,। সকাল ১০:৩০ মিনিটে বিভিন্ন স্কুলের শিক্ষার্থীদের অংশগ্রহণে একটি র্যালী বের হয়ে তা বিভিন্ন এলাকা প্রদক্ষিণ করে। র্যালীতে অংশগ্রহণকারীগণ এবারের প্রতিপাদ্য বিষয় ‘তথ্যের অধিকার, সুশাসনের অক্সগীকার’ শ্লোগান সম্বলিত পেপার ক্যাপ এবং বিভিন্ন শ্লোগানলিখিত প্লেকাডর্ হাতে সড়ক প্রদক্ষিণ করে। র্যালী শেষে মিলনায়তনে আলোচনা সভার আয়োজন করা হয়।
আলোচনা সভায় সভাপতিত্ব করেন মহেশখালী উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা আনোয়ারুল নাসের। সভায় তথ্য অধিকার আইন ব্যবহারের তাৎপর্য ব্যাখ্যা করে বক্তব্য রাখেন, কক্সবাজার জেলা আওয়ামীলীগ সহ-সভাপতি ডা. নুরুল আমিন, কোস্ট ট্রাস্ট কক্রসবাজার অঞ্চলের টিম লিডার ও এসজিএসপি প্রকল্পের সমন্বয়কারী মকবুল আহমেদ, মহেশখালী উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক আজিজুর রহমান, মহেশখালী পৌরসভার সাবেক মেয়র সরওয়ার আজম, মহেশখালী হাই স্কুলের প্রধান শিক্ষক শাহ আলম, প্রাক্তন শিক্ষক দিলীপ দাশ, মহেশখালী কলেজের ক্রীড়া শিক্ষক আমিনুল হক প্রমুখ। এবং ভোলা জেলায় কোস্ট ট্টাস্ট প্রতিনিধি মো: হাসান, প্রবীন সাংবাদিক বিটিভির জেলা প্রতিনিধি জনাব আবু তাহের, জেলা মৎস কর্মকর্তা প্রিতিশ কুমার মল্লিক বক্তব্য রাখেন।
সভাপতির ভাষণে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো: আনোয়ারুল নাসের বলেন, এক সময় সরকারী ও বেসরকারী সকল প্রতিষ্ঠানে তথ্য গোপন করে রাখা হতো। যা জনসাধারণ জানতে চাইলে তা জানতে পারতো না। রাষ্ট্রীয় গোপনীয় বিষয় বলে বৃটিশ আমল থেকে রাষ্ট্রের সকল তথ্য জনগণের কাছে গোপন রাখা হতো। বর্তমানে ২০০৯ সালের তথ্য জানার অধিকার আইন পাস হওয়ার পর তথ্য গোপন করে রাখা আর অসম্ভব নয়। তিনি বলেন, শুধুমাত্র রাষ্ট্রীয় নিরাপত্তা সম্বলিত বিষয় ছাড়া রাষ্ট্রের সকল তথ্য জনগণ জানতে পারবে। আর ভোলা সদর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা এস এম ফরিদ উদ্দিন বক্তব্য রাখেন। তিনি বলেন আমরা আমাদের যে কেউ তথ্য চাইলে তা প্রদান করছি কেননা এটা তার নাগরিক অধিকার। প্রধান অতিথির বক্তব্যে জেলা প্রশাসক মহোদয় বলেন মহান জাতীয় সংসদে ২৯ শে মার্চ ২০০৯ তথ্য অধিকার আইনটি পাশ করা হয়। সকল দপ্তরে তথ্য প্রদানের জন্য নিদির্ষ্ট দায়িত্বপ্রাপ্ত কর্মকর্তা রয়েছে তিনি তাদেরকে তথ্য অধিকার আইন এর নীতিমালা অনুযায়ী তথ্য প্রদানের আহবান জানান। তিনি আরো বলেন স্বচ্ছতা ও জবাবদিহিতার জন্য তথ্য অধিকার প্রয়োগ খুবই গুরুত্বপর্ণ। মানুষ এখন অনেক সচেতন হয়েছে, তৃণমুল পর্যায়ে এর ব্যবহার নিশ্চিত করার জন্য তিনি সকলকে আহবান জানান।