ভাংগন থেকে উপকূলবাসীর বাস্তসংস্থান ও বসতী রক্ষা করা সরকারের সাংবিধানিক দায়িত্ব এ স্লোগান কে সামনে রেখে বে-সরকারী উন্নয়ন সংস্থা কোস্ট ট্রাস্ট, গ্রামীণ জন উন্নয়ন সংস্থা, পরিবার উন্নয়ন সংস্থা, পল্লীসেবা ও দীপ উন্নয়ন সংস্থা এর আয়োজনে ভোলা কে স্থায়ীভাবে রক্ষার দাবিতে সদর রোডের কে-জাহান মার্কেটের সামনে মানববন্ধন করেন।
মাবনবন্ধে শুভেচ্ছা বক্তব্য প্রদান করেন, কোস্ট ট্রাস্টের আঞ্চলিক টিম লিডার রাশিদা বেগম । তিনি উপস্থিত সবাইকে মানববন্ধনে অংশ গ্রহনের জন্য শুভেচ্ছা ও অভিনন্দন জানান। তিনি বলেন, ভোলাকে স্থায়ীভাবে সিসিব্লক নির্মান করে ভোলাকে রক্ষার জন্য চলতি বাজেটে বাড়তি বরাদ্ধের জন্য সরকারের প্রতি দৃষ্টি আকর্ষন করেন।
অংশগ্রহণকারী :
ভোলা জেলার নাগরিক কমিটির সভাপতি এডভোকেট মো: শাজাহান, জেলা কমিউনিষ্ট পার্টির সভাপতি মোবাশ্বির উল্লাহ চৌধুরী, ভাঙ্গন কবলিত এলাকার ভুক্তভোগী জেলে, কৃষি পরিবারের প্রতিনিধি, উন্নয়ন সংগঠনের প্রতিনিধি, নারীনেত্রী, বিভিন্ন সাংস্কৃতিক সংগঠন, সাংবাদিক, সুশীল সমাজের প্রতিনিধি সহযোগি সংগঠকসহ কোস্টে ট্রাস্টের কর্মীবৃন্দ অংশগ্রহন করেন।
মানববন্ধে ধারণা পত্র বিতরণ করা:
মানববন্ধনে অংশগ্রহনকারীগন বক্তব্য ও ফেষ্টুনের মাধ্যমে তাদের দাবীগুলো তুলে ধরেন:
১. কৃষি জমি রক্ষা কর স্থায়ীবাঁধ তৈরী কর,
২. জাতীয় বাজেটে স্থায়ী বাঁধ রক্ষায় অগ্রাধিকার দিতে হবে, দিয়ে দাও, দিয়ে দাও।
৩. সেনাবাহিনীর প্রকৌশল কোর নিয়োগ কর অনিয়ম দুর কর
৪. জিও ব্যাগ চাইনা, স্থায়ী সমাধান, এটি না।
মানববন্ধন কর্মসূচিতে বক্তব্য প্রদান করেন :
ক্স ধনিয়া ইউপি সদস্য শানু মিয়া বলেন, গত জোয়াড়ের সময় ধনিয়া ইউনিয়নের দুইটি ওয়ার্ড জোয়াড়ের পানিতে সম্পুর্ন প্লাবিত হয়েছে। ভাঙ্গন সমস্যায় স্থায়ী সমাধানের জন্য সরকারের হস্তক্ষেপ কামনা করেন।
ক্স জেলে প্রতিনিধি এরশাদ বলেন, গত বৎসর মেঘনার জোয়াড়ে সদরের রাজাপুর, কাচিয়া, ধনিয়া, ইলিশা ও শিবপুর মোট ৫টি ইউনিয়নে ৫ হাজার মানুষ দীর্ঘ দিন ব্যাপী পানি বন্ধি ছিল। বর্তমান বর্ষা মৌসুম সাধারণ মানুষ আতংক। তাই সরকারের প্রতি আহবান ভাল করে বেড়িবাঁধ নির্মাণ করার জন্য।
ক্স জনাব মোবাশ্বির উল্লাহ চৌধুরী বলেন, ভোলাকে রক্ষা করা ভোলার মানুষের প্রাণের দাবী। আমরা চাই এ পর্যন্ত আমরা অনেকভাবে আমাদের দাবী তুলে ধরেছি। সরকার ৫/১০টি প্রকল্প দিয়ে ভোলাকে রক্ষা করতে পারবেনা ভোলাকে রক্ষার জন্য দীর্ঘমেয়াদী ভিত্তিতে সিসি ব্লক’র পরিকল্পনা থাকতে হবে। আজকের এ মানববন্ধন থেকে স্থায়ী বাধ রক্ষার জোড় দাবী জানাচ্ছি।
ক্স মুনমুন জাহানÑ মহিলা আঙ্গিনা সমিতি: তিনি বলেন, আমাদের ভালো ভাবে বেঁেচ থাকার জন্য সরকারই পারে সকল পদক্ষেপ গ্রহণ করতে। নদী ভেঙ্গে, বেরি ভেঙ্গে পানি উপরে আসলে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হয় নারী ও শিশু, বয়স্ক, প্রতিবন্ধি এবং গর্ভবতী মানুষ গুলো। তাই নারীদের বিশেষ করে ভোলাবাসীর পক্ষে সরকারকে দাবী জানাচ্ছি আগামী বছরের বাজেটে ভোলা স্থায়ীভাবে রক্ষার জন্য বরাদ্ধ বৃদ্ধি করা।
ক্স বিথি ইসলাম, সমন্বয়কারী, গ্রামীণ জনউন্নয়ন সংস্থা : আয়োজকের পক্ষ থেকে তিনি শুভেচ্ছা জ্ঞাপনের পাশাপািশ মনপুরা, চরফাসন, তজুমদ্দিন, লালমোহন, দৌলতখান এবং ভোলা সকল স্তরের মানুষকে এই মানববন্ধ, সভা সেমিনার ইত্যাদি চলমান রাখার আহবান জানান। কারন এটা এক দিনের দাবীতে বাস্তবায়ন সম্ভব না। প্রতিনিয়ত সংশ্লিষ্ট দপ্তর এবং দায়িত্বশীল ব্যক্তিদের দৃষ্টি আকর্ষণের জন্য দাবী দাওয়া চালিয়েই যেতে হবে।
ক্স তপন, ম্যানেজার, পল্লী সেবা সংস্থা: তিনি বলেন বাধঁ নির্মাণ কাজে সেনাবাহীনিকে সম্পৃক্ত করলে কিছুটা দুর্নীতি মুক্ত হবে।
ক্স মোঃ কামাল – ম্যানেজার, পরিবার উন্নয়ন সংস্থা: তিনি বলেন, সরকার ভোলার উন্নয়নের জন্য কোটি কোটি টাকা বরাদ্ধ করে এবং উন্নযন করে। কিন্তু দিন দিন ভোলা যে ভাবে ভেঙ্গে যায় এখানে সরকারের সুদূরপ্রসারী পরিকল্পনা ও বাজেট বরাদ্ধ বেশি না হলে উন্নয়ন করে কোন লাভ নেই। তাই আজ মানববন্ধে সরকারের দৃষ্টি আকর্ষণ করে বলতে চাই “ভাঙগন রোধে এবং জোয়ারে প্লাবন থেকে ভোলাবাসীকে রক্ষা করতে হবে।”
মানববন্ধে ভোলার সকল স্তরের জনগণ সম্মিলিতভাবে অংশগ্রহণ করায় কোস্ট ট্রাস্টের পক্ষ থেকে কৃজ্ঞতা জ্ঞাপনের মাধ্যমে কর্মসূচি সমাপনী ঘোষণা করা হয়।